ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাবে পালং শাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ৫৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টাল সিটিকে বলা হয় পৃথিবীর পালংশাক রাজধানী। একসময় পৃথিবীর মোট টিনজাত পালংশাকের অর্ধেক সরবরাহ করা হতো এখান থেকে। ক্রিস্টাল সিটির মোড়ে মোড়ে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র পাপাইয়ের মূর্তি দেখা যাবে।

কারণ, কার্টুনে দেখানো হয়, পাপাইয়ের শক্তির মূল উৎস পালংশাক। এই কার্টুন দেখে শিশুরা হুট করে পালংশাকে এতটাই আগ্রহী হয়ে পড়ে যে বিশ্বব্যাপী পালংয়ের চাহিদা এবং উৎপাদনে আকাশচুম্বী ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।

কার্টুনের কথা থাক, গুণাগুণে আসি।

পালংশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, ‘এ’, ‘সি’, ‘বি২’ ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, তেমনি ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম আঁশ থাকে, তবে কোনো চর্বি নেই।

পালংশাকে প্রচুর পানি থাকে। আর তাই রান্নার সময় পরিমাণটা একটু বাড়িয়ে নেবেন, পরে ভাগে যেন কম না পড়ে! পালংশাকে দ্রুত পচন ধরে। সংরক্ষণ করতে হলে বায়ুরোধী পলিব্যাগের ভেতর আঁটি খুলে ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। হিমায়িত করেও সংরক্ষণ করা যায়।

শীতকালীন সবজি হলেও বাজারে সারা বছর পালংশাক দেখা যায়। দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে পালংশাক। রক্তের গুণাগুণ বাড়ায়। পালংশাকের আয়রন লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে বলে জানালেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

  • পালংশাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি খুঁজে পাওয়া কঠিন। হাড় সুরক্ষায় এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

অকাল অন্ধত্ব এবং রাতকানা রোধে পালংশাকের ভিটামিন ‘এ’ খুব কাজে দেয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধ করতেও পালংশাক কার্যকরী।

ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে পালংশাক অপরিহার্য।

আঁশসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় পালংশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

চিনি না থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে পালংশাক খেতে পারেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পালংশাকে প্রচুর অক্সালেট থাকে। কিডনির পাথরে অক্সালেট পাওয়া গেছে এমন কেউ বেশি পরিমাণে পালংশাক খাবেন না, পরিহার

করাই ভালো। এতে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি। বেশি অক্সালিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শুষে নেয়। হালকা রান্না করলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় বলে ধারণা করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাবে পালং শাক

আপডেট টাইম : ১১:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টাল সিটিকে বলা হয় পৃথিবীর পালংশাক রাজধানী। একসময় পৃথিবীর মোট টিনজাত পালংশাকের অর্ধেক সরবরাহ করা হতো এখান থেকে। ক্রিস্টাল সিটির মোড়ে মোড়ে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র পাপাইয়ের মূর্তি দেখা যাবে।

কারণ, কার্টুনে দেখানো হয়, পাপাইয়ের শক্তির মূল উৎস পালংশাক। এই কার্টুন দেখে শিশুরা হুট করে পালংশাকে এতটাই আগ্রহী হয়ে পড়ে যে বিশ্বব্যাপী পালংয়ের চাহিদা এবং উৎপাদনে আকাশচুম্বী ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।

কার্টুনের কথা থাক, গুণাগুণে আসি।

পালংশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, ‘এ’, ‘সি’, ‘বি২’ ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, তেমনি ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম আঁশ থাকে, তবে কোনো চর্বি নেই।

পালংশাকে প্রচুর পানি থাকে। আর তাই রান্নার সময় পরিমাণটা একটু বাড়িয়ে নেবেন, পরে ভাগে যেন কম না পড়ে! পালংশাকে দ্রুত পচন ধরে। সংরক্ষণ করতে হলে বায়ুরোধী পলিব্যাগের ভেতর আঁটি খুলে ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। হিমায়িত করেও সংরক্ষণ করা যায়।

শীতকালীন সবজি হলেও বাজারে সারা বছর পালংশাক দেখা যায়। দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে পালংশাক। রক্তের গুণাগুণ বাড়ায়। পালংশাকের আয়রন লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে বলে জানালেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

  • পালংশাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি খুঁজে পাওয়া কঠিন। হাড় সুরক্ষায় এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

অকাল অন্ধত্ব এবং রাতকানা রোধে পালংশাকের ভিটামিন ‘এ’ খুব কাজে দেয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধ করতেও পালংশাক কার্যকরী।

ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে পালংশাক অপরিহার্য।

আঁশসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় পালংশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

চিনি না থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে পালংশাক খেতে পারেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পালংশাকে প্রচুর অক্সালেট থাকে। কিডনির পাথরে অক্সালেট পাওয়া গেছে এমন কেউ বেশি পরিমাণে পালংশাক খাবেন না, পরিহার

করাই ভালো। এতে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি। বেশি অক্সালিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শুষে নেয়। হালকা রান্না করলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় বলে ধারণা করা হয়।